কিশমিশ

 




কিশমিশ, ছোট এই ফলটি শুধু স্বাদেই অতুলনীয় নয়, পুষ্টিগুণে ভরপুরও বটে। শুকনো আঙ্গুর থেকে তৈরি এই মিষ্টি খাবারটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী

কিশমিশ কী?

কিশমিশ হল শুকনো আঙ্গুর। বিভিন্ন ধরণের আঙ্গুর শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি করা হয়। বাজারে বিভিন্ন আকারের ও রঙের কিশমিশ পাওয়া যায়

কিশমিশ তৈরির পদ্ধতি

ঐতিহ্যগতভাবে, কিশমিশ তৈরির সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল আঙ্গুরগুলিকে সূর্যের আলোয় শুকানো। প্রথমে আঙ্গুরগুলিকে একটি ট্রেতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং কয়েক দিনের জন্য সূর্যের আলোয় শুকানো হয়। আঙ্গুর শুকিয়ে গেলে সেগুলি ছোট এবং কুঁচকানো হয়ে যায়। এই শুকনো আঙ্গুরগুলিই হল কিশমিশ

আধুনিক পদ্ধতিতে, আঙ্গুরগুলিকে ডিহাইড্রেশন মেশিনে শুকানো হয়। এই পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে কিশমিশ তৈরি করা সম্ভব

কিশমিশের বৈজ্ঞানিক নাম

কিশমিশের বৈজ্ঞানিক নাম হল Vitis vinifera

কিশমিশের পুষ্টিগুণ

কিশমিশ অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে:

 * ভিটামিন: ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে

 * খনিজ: আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম

 * ফাইবার: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে

 * অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে

কিশমিশের উপকারিতা

কিশমিশ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এর কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:

 * হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: কিশমিশে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

 * রক্তাল্পতা কমায়: কিশমিশে থাকা আয়রন রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে

 * হজমক্ষমতা বাড়ায়: কিশমিশে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

 * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

 * ত্বকের জন্য ভালো: কিশমিশে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য ভালো

 * ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে

 * চোখের জন্য ভালো: কিশমিশে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো

কিশমিশ খাওয়ার নিয়ম

কিশমিশ সরাসরি খাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। যেমন - পায়েস, হালুয়া, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি। এছাড়াও, কিশমিশ রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে এর উপকারিতা আরও অনেক বেড়ে যায়

কিছু সতর্কতা

কিশমিশ খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের কিশমিশ খাওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এছাড়াও, অতিরিক্ত পরিমাণে কিশমিশ খেলে ওজন বাড়তে পারে

উপসংহার

কিশমিশ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে, এটি খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post