পদার্থের মান্ত্রিক গুণাগুণ
পদার্থের গঠনঃ
সব পদার্থই কতকগুলো অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দিয়ে গঠিত, যা পদার্থের সব গুণ বজায় রাখে। এসব ক্ষুদ্র কণাকে অনু বলে। অণুগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্থিতিস্থাপক গোলক বিশেষ এবং এদেরকে পদার্থের ভিত্তিপ্রস্তর বলা হয়।
আন্তঃআণবিক স্থানঃ
প্রত্যেকটি পদার্থ গঠনের সময় অণুগুলো পরস্পরের পাশাপাশি থাকে এবং তাদের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র পরিমাণের ফাঁকা স্থান রয়েছে। এ ফাঁকা স্থানকে আন্তঃআণবিক স্থান বলা হয়।
আন্তঃআণবিক বলঃ
সৃষ্টির নিয়মানুসারে এ ফাঁকগুলো নির্দিষ্ট এবং পরস্পরকে একটি বলে আকর্ষণ করে। এ বলকে আন্তঃআণবিক বল বলে।
পদার্থের যান্ত্রিক ধর্ম বা গুণাবলির প্রয়োজনীয়তা:
পদার্থের কতগুলো গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে। এ গুণ বা বৈশিষ্ট্যকে পদার্থের ধর্ম বলে।
পদার্থের ধর্মের প্রকারভেদঃ পদার্থের ধর্ম দু'প্রকার। যথা-
(ক) সাধারণ ধর্ম এবং (খ) বিশেষ ধর্ম ।
সাধারণ ধর্মঃ যে ধর্ম কমবেশি সব পদার্থেই থাকে, তাকে পদার্থের সাধারণ ধর্ম বলে।
পদার্থের সাধারণ ধর্মগুলো হলঃ ওজন, বিস্তৃতি, রোধ, স্থিতিস্থাপকতা, ভর, ঘনত্ব, অভেদ্যতা, সংশক্তি, সংনম্যতা, আসঞ্জন, মহাকর্ষ, সচ্ছিদ্রতা, বিভাজ্যতা, ঘর্ষণ ইত্যাদি ।
বিশেষ ধর্মঃ যে ধর্ম সব পদার্থের নেই, কোনো কোনো পদার্থের আছে, তাকে ঐ পদার্থের বিশেষ ধর্ম বলে।
পদার্থের বিশেষ ধর্মগুলো হলঃ ঘাতসহতা, কাঠিন্য, ভঙ্গুরতা, দৃঢ়তা ইত্যাদি ধর্ম কেবল কঠিন পদার্থের আছে, তরল এবং বায়বীয় পদার্থের নেই। অতএব, এসব কঠিন পদার্থের বিশেষ ধর্ম।
যান্ত্রিক ধর্ম বা গুণাবলি : পদার্থের যে গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্যের কারণে এর উপর বাহ্যিক বল প্রযুক্তির ফলে অভ্যন্তরীণ
বাধা প্রদানকারী বলের উদ্ভব হয় অথবা বাহ্যিক বলকে বাধা প্রধান করতে পারে, তাকে ঐ পদার্থের যান্ত্রিক গুণাবলি বলে।
পদার্থের যান্ত্রিক গুণগুলো নিম্নরূপঃ-
১। সামর্থ্য/শক্তি | ৭। স্থিতিস্থাপকতা |
২। কাঠিন্য | ৮। প্লাস্টিসিটি |
৩। দুর্ভেদ্যতা | ৯। ঘাত সহতা |
৪। ভঙ্গুরতা | ১০। চলন |
৫। দৃঢ়তা | ১১। ফ্যাটিগ সামর্থ্য ও সহন সীমা |
৬। নমনীয়তা | ১২। সঞ্চিত বিকৃতি শক্তি |
Post a Comment